বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে পৃথক দুটি পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাড়িয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনই একই পরিবারের। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় একই সময়ে বান্দরবান পৌর এলাকার কালাঘাটা ও লামা উপজেলার সরই কালাইয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ হানিফ (৩০), রোজিয়া খাতুন (২৫), হানিফা আকতার (৩) এবং প্রতিমা রাণী (৪০)।
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ আলী জানান, মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরের দিকে দুর্গম কালাইয়া পাড়া এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট দূরের একটি পাহাড় হঠাৎ করে হানিফের বসতঘরের ওপর ধসে পড়ে। এতে স্বামী, স্ত্রী এবং ৩ বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মাটি সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে একইদিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে বান্দরবান শহরের কালাঘাটা বড়ুয়ার টেক এলাকায় পাশ্ববর্তী পাহাড় থেকে ধসে পড়া মাটি একটি টিনশেড ঘরের ওপর পড়লে প্রতীমা রাণী (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
নিহত প্রতীমা বান্দরবান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিলন দাশের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানায়, এ সময় প্রতীমা রাণী একাই ঘরে অবস্থান করছিলেন।
জানা গেছে, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের দুটি উদ্ধারকারী ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি সরিয়ে প্রতীমা রাণীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই পৃথক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত খেকে উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক এবং উর্ধতন কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার ওসি গোলাম সারোয়ার জানান, নিহত প্রতীমা রাণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্য মাহবুবুল ইসলাম চকরিয়া নিউজকে জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন।
তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় আরো পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
পাঠকের মতামত: